জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছুটির নোটিশ- ২০২৫
Published on Monday, August 4, 2025
২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে অরাজনৈতিক ছাত্র প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সূচনা করে। আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকর্মীদের উপর সহিংসতার ফলে তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তার অংশ হিসেবে দুই দিনব্যাপী রাজধানী ঢাকায় পরিচালিত লং মার্চের অংশ হিসেবে ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ রাজধানীতে আসতে থাকে। ফলে বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে বোন শেখ রেহানা সহ দেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয় এবং তার দলের ১৫ বছরের শাসনকালের অবসান ঘটে।[১] চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তখন ৫ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল।[২] ঘটনার পর দিনটিকে আন্দোলনকারীরা ৩৬ জুলাই হিসেবে অভিহিত করতে শুরু করে।[৩] ৯ আগস্ট ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি সংবাদ সম্মেলনে ৫ আগস্টকে "দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস" ঘোষণা করে।[৪] ২০ আগস্ট ২০২৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।[৫] ১৬ অক্টোবর ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সম্পর্কিত একটি তারিখ জাতীয় দিবসের তালিকায় যুক্ত হবে এবং এ নিয়ে সরকারে আলোচনা চলমান রয়েছে।[৬] একই দিনে অনলাইন সক্রিয়কর্মী পিনাকী ভট্টাচার্য দিনটিকে "ফ্যাসিবাদ পতন দিবস" বা "মহান পলায়ন দিবস" হিসেবে সরকারি ছুটির দিন করার প্রস্তাব দেন।[৭] এর পরের দিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তাদের একটি সূত্র জানিয়েছিল যে দিনটি একইসাথে সরকারিভাবে সাধারণ ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মন্ত্রিপরিষদের সভায় আলোচনার পর সম্ভাব্য সরকারি ছুটির দিনটির একটি নাম ঠিক করে দেওয়া হবে।[৮] মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের জন্য প্রস্তুতকৃত অ্যালোকেশন অব বিজনেস প্রস্তাবে দিনটি পালনের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছিল যা ৬ জানুয়ারি ২০২৫ সালে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠানোর পর তাদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়।[৯] ২৯ এপ্রিল ২০২৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় দিবসটির নাম বাছাই করে 'ক' শ্রেণিভুক্ত করার একটি প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।[১০] ১৬ জুন ২০২৫ সালে ইনকিলাব মঞ্চ দেশের স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের সাথে তুলনা করে দিনটিকে "জাতীয় মুক্তি দিবস" হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানায়।[১১] ১৯ জুন ২০২৫ সালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী উক্ত বছর থেকে নিয়মিত দিনটিতে সরকারি ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেন।[১২] একই দিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দিবসটি পালনের উদ্দেশ্যে একটি কমিটি গঠন করে।[১৩] ২৪ জুন ২০২৫ সালে সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ২৬ দিনব্যাপী 'জুলাই স্মৃতি উদ্যাপন অনুষ্ঠানমালা' উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়, যার মধ্যে ৩৬ জুলাই অন্তর্ভুক্ত ছিল।[১৪] পরের দিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ৩৬ জুলাইকে "জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস" ঘোষণা করে এবং এটিকে ক শ্রেণিভুক্ত দিবসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।[১৫] ২৮ জুন ২০২৫ সালে দিনটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজধানীতে গণমিছিল এবং সারাদেশে মিছিল ও সমাবেশের পরিকল্পনা প্রকাশ করে।[১৬] ২ জুলাই ২০২৫ সালে দিনটিকে সরকার প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সরকারি বার্ষিক ছুটির দিন ঘোষণা করে।[১৭] একই দিনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ৫ আগস্টে একটি বিজয় মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।[১৮] পরের দিন বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এর অন্তর্ভুক্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চিঠি প্রেরণ করে দিনটি পালনের নির্দেশ প্রদান করে।[১৯] এছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় দিবস উপলক্ষ্য বিশেষ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৬৪টি জেলা প্রশাসকদের দপ্তরে অভিভাবক সমাবেশ ও দুটি চলচ্চিত্র প্রদর্শন, বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে, একাধিক স্থানে, যাত্রাবাড়ী মোড়ে, সকল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাধিক চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী, দরগাহগুলোতে সুফিসংগীত ও দোয়া মাহফিল, গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত বই প্রকাশ, জুলাই গণহত্যায় নিহত ছয় সাংবাদিকের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠান আয়োজন এবং সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ।[২০] ১৭ জুলাই ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক দিনটিতে দেশের সকল ব্যাংক বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।[২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে অরাজনৈতিক ছাত্র প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সূচনা করে। আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকর্মীদের উপর সহিংসতার ফলে তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তার অংশ হিসেবে দুই দিনব্যাপী রাজধানী ঢাকায় পরিচালিত লং মার্চের অংশ হিসেবে ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ রাজধানীতে আসতে থাকে। ফলে বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে বোন শেখ রেহানা সহ দেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয় এবং তার দলের ১৫ বছরের শাসনকালের অবসান ঘটে।[১] চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তখন ৫ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল।[২] ঘটনার পর দিনটিকে আন্দোলনকারীরা ৩৬ জুলাই হিসেবে অভিহিত করতে শুরু করে।[৩] ৯ আগস্ট ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি সংবাদ সম্মেলনে ৫ আগস্টকে "দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস" ঘোষণা করে।[৪] ২০ আগস্ট ২০২৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।[৫] ১৬ অক্টোবর ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সম্পর্কিত একটি তারিখ জাতীয় দিবসের তালিকায় যুক্ত হবে এবং এ নিয়ে সরকারে আলোচনা চলমান রয়েছে।[৬] একই দিনে অনলাইন সক্রিয়কর্মী পিনাকী ভট্টাচার্য দিনটিকে "ফ্যাসিবাদ পতন দিবস" বা "মহান পলায়ন দিবস" হিসেবে সরকারি ছুটির দিন করার প্রস্তাব দেন।[৭] এর পরের দিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তাদের একটি সূত্র জানিয়েছিল যে দিনটি একইসাথে সরকারিভাবে সাধারণ ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মন্ত্রিপরিষদের সভায় আলোচনার পর সম্ভাব্য সরকারি ছুটির দিনটির একটি নাম ঠিক করে দেওয়া হবে।[৮] মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের জন্য প্রস্তুতকৃত অ্যালোকেশন অব বিজনেস প্রস্তাবে দিনটি পালনের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছিল যা ৬ জানুয়ারি ২০২৫ সালে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠানোর পর তাদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়।[৯] ২৯ এপ্রিল ২০২৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় দিবসটির নাম বাছাই করে 'ক' শ্রেণিভুক্ত করার একটি প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।[১০] ১৬ জুন ২০২৫ সালে ইনকিলাব মঞ্চ দেশের স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের সাথে তুলনা করে দিনটিকে "জাতীয় মুক্তি দিবস" হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানায়।[১১] ১৯ জুন ২০২৫ সালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী উক্ত বছর থেকে নিয়মিত দিনটিতে সরকারি ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেন।[১২] একই দিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দিবসটি পালনের উদ্দেশ্যে একটি কমিটি গঠন করে।[১৩] ২৪ জুন ২০২৫ সালে সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ২৬ দিনব্যাপী 'জুলাই স্মৃতি উদ্যাপন অনুষ্ঠানমালা' উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়, যার মধ্যে ৩৬ জুলাই অন্তর্ভুক্ত ছিল।[১৪] পরের দিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ৩৬ জুলাইকে "জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস" ঘোষণা করে এবং এটিকে ক শ্রেণিভুক্ত দিবসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।[১৫] ২৮ জুন ২০২৫ সালে দিনটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজধানীতে গণমিছিল এবং সারাদেশে মিছিল ও সমাবেশের পরিকল্পনা প্রকাশ করে।[১৬] ২ জুলাই ২০২৫ সালে দিনটিকে সরকার প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সরকারি বার্ষিক ছুটির দিন ঘোষণা করে।[১৭] একই দিনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ৫ আগস্টে একটি বিজয় মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।[১৮] পরের দিন বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এর অন্তর্ভুক্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চিঠি প্রেরণ করে দিনটি পালনের নির্দেশ প্রদান করে।[১৯] এছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় দিবস উপলক্ষ্য বিশেষ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৬৪টি জেলা প্রশাসকদের দপ্তরে অভিভাবক সমাবেশ ও দুটি চলচ্চিত্র প্রদর্শন, বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে, একাধিক স্থানে, যাত্রাবাড়ী মোড়ে, সকল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাধিক চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী, দরগাহগুলোতে সুফিসংগীত ও দোয়া মাহফিল, গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত বই প্রকাশ, জুলাই গণহত্যায় নিহত ছয় সাংবাদিকের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠান আয়োজন এবং সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ।[২০] ১৭ জুলাই ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক দিনটিতে দেশের সকল ব্যাংক বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।[