আখেরি চাহার সোম্বা নোটিশ ২০২৫
Published on Monday, August 18, 2025
আখেরি চাহার সোম্বা (আনুষ্ঠানিকভাবে: আখির চাহার শাম্বা বা আখেরি চাহার সোম্বা) হলো ইসলামী বর্ষপঞ্জির মুহাররম মাসের শেষ বুধবার পালিত একটি ধর্মীয় দিন, যা মূলত শিয়া মুসলমানদের মাঝে বিশেষভাবে গুরুত্ব সহকারে পালন করা হয়। তবে কিছু সুন্নি মুসলমানের মাঝেও এটি আংশিকভাবে পালিত হয়ে থাকে।
এখন চলুন বাংলায় এর ইতিহাসটি সংক্ষেপে আলোচনা করি:
আখেরি চাহার সোম্বা শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ—“শেষ চতুর্থ বুধবার”। এটি হিজরি সনের প্রথম মাস মুহাররমের শেষ বুধবারে পালিত হয়।
এই দিনের সাথে ইসলামি ইতিহাসে একাধিক ঘটনা জড়িত আছে বলে অনেকে বিশ্বাস করেন, বিশেষত:
একটি জনপ্রিয় বিশ্বাস অনুযায়ী, রাসূল মুহাম্মদ (সা.) জীবনের শেষ রোগ থেকে এই দিনে কিছুটা সুস্থতা লাভ করেছিলেন। যদিও পরে তিনি ইন্তেকাল করেন রবিউল আউয়াল মাসে, তবে অনেক অনুসারী এই দিনে দোয়া, ইবাদত ও শোক পালনের মাধ্যমে তার স্মরণ করেন।
এই দিনটি মূলত কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনার (১০ই মুহাররম - আশুরা) পরবর্তী এক অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে এটি এক ধরনের আধ্যাত্মিক ও শোকানুষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত।
ইরান, ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে এই দিনটি কখনো কখনো ‘বিশেষ দোয়া ও পবিত্রতা অর্জনের দিন’ হিসেবে পালন করা হয়। কিছু স্থানে মানুষ গৃহস্থালি পরিষ্কার করে, পানিতে গোসল করে, বিশেষ দোয়া করে, এবং আল্লাহর রহমত কামনা করে।
বাংলাদেশে আখেরি চাহার সোম্বা খুব জনপ্রিয় বা ব্যাপকভাবে পালিত না হলেও, কিছু এলাকায় ও পরিবারে এটি পালন করা হয়। বিশেষ করে পুরান ঢাকায় ও কিছু শিয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত অঞ্চলে বিশেষ দোয়া মাহফিল, মিলাদ ও কোরআনখানি অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয় | ব্যাখ্যা |
---|
নাম | আখেরি চাহার সোম্বা |
অর্থ | শেষ চতুর্থ বুধবার |
পালনের সময় | মুহাররম মাসের শেষ বুধবার |
পালনকারীরা | মূলত শিয়া মুসলমান, কিছু সুন্নি অনুসারীও |
প্রধান কার্যক্রম | দোয়া, মিলাদ, ইবাদত, শোক পালন |